৫ টি উপায়ে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করুন

৫ টি উপায়ে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন
ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন


ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করবেনঃ

২০২১ সালে এসে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করাটা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ তাদের মেধা ও  পরিশ্রম কে  কাজে লাগিয়ে নানান উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করে থাকে।  আপনিও চাইলে  শত উপায়ে অনলাইন থেকে লাখ টাকা আয় করতে পারেন। আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে ইউটিউব থেকে কিভাবে এবং কত উপায়ে আয় করা সম্ভব সেই বিষয়ে  আলোচনা করব!


ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে / কত উপায়ে ইনকাম হয়ঃ

আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল  থাকে তাহলে আপনি আপনার এই চ্যানেল  থেকে অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি ও জনপ্রিয় হলো  গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করা। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার প্রাথমিক হলো এডসেন্স। 

নিচে গুগল এডসেন্স ছাড়াও অন্য কি কি উপায়ে আপনি একটি  ইউটিউব চ্যানেল থেকে  আয় করতে পারেন তা দেয়া হলোঃ

  • গুগল এডসেন্স

  • স্পন্সর

  • নিজের পণ্য  বা সার্ভিস বিক্রি করা

  • এফিলিয়েট মার্কেটিং

  • রেফার করা 

  • ইত্যাদি


গুগল এডসেন্সঃ

গুগল এডসেন্স পৃথিবীর সবথেকে বড় ও জনপ্রিয় এডভারটিসমেন্ট কোম্পানী। আপনি যখন ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও দিবেন এবং এমন একটা পর্যায়ে যাওয়ার পর গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। কিছুক্ষন বা কিছুদিনের মধ্যে গুগল আপনার চ্যানেলকে  কে রিভিউ করে দেখবে আপনার চ্যানেলটি এডসেন্স পাওয়ার যোগ্য কি না! যদি আপনি ইউনিক এবং এডসেন্স ফ্রেন্ডলী ভিডিও পোস্ট করবেন তখন এমনিতেই আপনি এডসেন্স এর এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন।

এডসেন্স এপরুভাল পাওয়ার জন্য অবশ্যই নিজের বানানো ভিডিও পোস্ট করতে হবে। কপি করা অডিও বা ভিডিও দিয়ে কখনোই এডসেন্স পাবেন না।

 এডসেন্স পাওয়ার আগে আপনি যদি টুকটাক ইনকাম করতে চান তাহলে স্পন্সর, রেফার, এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এই গুলো আপনি যেকোনো সময় করতে পারেন। এডসেন্স এর আগে পরে অথবা সবগুলো একসাথে করে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।  

ইউটিউবের মাধ্যমে এডসেন্স এপ্রুভাল কে সাধারণত মনিটাইজেশন বলে। 

আপনার ভিডিওতে যত ভিউ হবে  আপনার আয় তত বেশী হবে। 

এডসেন্স / মনিটাইজেশন পাবার শর্তবলীঃ

  • কপিরাইট ক্লেইম বা স্ট্রাইক না থাকা

  • নিজের কন্টেন্ট 

  • নিজের অডিও

  • লোগো /  ব্যানার / থাম্বনাইল নিজের

 এবং সর্বশেষ ১২ মাসের মধ্যে যা যা থাকতে হবে -

➧১০০০  সাবস্ক্রাইবার + ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম 

গুগল এডসেন্স হতে কত টাকা আয় সম্ভবঃ

গুগল এডসেন্স থেকে সর্বোচ্চ আয়ের কোনো লিমিট নেই। আপনি এক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। আপনার ভিসিটর / ভিউ  যত বেশী হবে আপনার আয় তত বেশী হবে। 

কিভাবে ইনকাম হয়ঃ

ধরুন বাংলাদেশের ইভ্যালি  গুগল এডস এর মাধ্যমে তাদের পণ্য গুলো প্রমোট করতে চাচ্ছে। তারা গুগল কে টাকা দিয়ে বলবে আমার এই সার্ভিস বা পণ্য কে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌছে দিবেন। তখন গুগল কি করবে তারা যাদের কে এডসেন্স এপরুভাল দিয়েছে তাদের চ্যানেলের ভিডিওতে ইভ্যালির  এড বা বিজ্ঞাপন দেখাবে। এই বিজ্ঞাপনে মাধ্যমে ইভ্যালি / গুগল / চ্যানেলের মালিক আয় করতে পারবে। 

যেমন, বিজ্ঞাপনের ফলে ইভ্যালির  পণ্য বিক্রি হবে/ তারা যে টাকা গুগল কে দিল উক্ত টাকার  কিছু অংশ গুগল নিবে বাকী কিছু অংশ চ্যানেলের মালিক কে দিবে । কারণ উক্ত চ্যানেলের মাধ্যমেই তারা এড দেখিয়েছে। এইভাবে সাধারণত এডসেন্স থেকে আয় হয়। 

কিভাবে পেমেন্ট পাবেনঃ

কোন দেশ থেকে ভিউ হচ্ছে,ইমপ্রেশন সিপিসি ও ক্লিকের উপর নির্ভর করে কত টাকা পাবেন। এডসেন্স এর টাকা মাসে একবার তারা  সরাসরি ব্যাংক এ পাঠিয়ে দেয়।   

এডসেন্স থেকে আয় করতে চাইলে সবসময় ইউনিক কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে  এবং কোনো সময় নিজের এডে { গুগল থেকে দেয়া এড} ক্লিক করা যাবেনা বা কাউকে আপনার ভিডিউতে আসা এডে ক্লিক করতে বলা যাবে না। 

 

স্পন্সর থেকে ইনকামঃ 

স্পন্সর বলতে আপনার ভিডিওর মাঝে কোনো কোম্পানির  পণ্যের কথা  সবাইকে বললেন বা কোনো অ্যাপ কে প্রমোট করলেন। মনে করুন, আপনি একটি ভিডিও বানালেন এখন এই ভিডিওতে কোনো ব্যক্তির কোনো ভিডিও, পেইজ,পণ্য,  অ্যাপ , সাইট কে ব্যবহার করতে বললেন। এখন সে আপনাকে আপনার এভারেজ ভিউ এর উপর টাকা দেবে। 

কিভাবে পেমেন্ট পাবেনঃ 

সেই টাকা আপনাকে হাতে / বিকাশে / ব্যাংকে / চেকের মাধ্যমে দিয়ে থাকে।  

আপনার চ্যানেলের ভিউ যত বেশি হবে আপনাকে তত বেশি টাকা দেবে।


নিজের পন্য বা সার্ভিস থেকে আয়ঃ

আপনার ভিডিওতে আপনি আপনার কোনো পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করেও আয় করতে পারেন। যেমন, আপনার চ্যানেলে  আপনি যেকোনো সেবা বা সার্ভিসের অথবা যেকোনো বিষয়ের  উপর ভিডিও বানালেন। এর পাশাপাশি আপনি আপনার পণ্য বা সার্ভিস নিয়েও কিছু বললেন  এবং উক্ত পণ্য বা সার্ভিস টি কেনার লিংক করে রাখলেন। দেখে গেল অনেকেই আপনার ভিডিও দেখে সেবা বা  সার্ভিস টি কিনে নিল এবং আপনি আয় করলেন। সেটা হতে পারে কোনো সোর্স কোড / কাপড় / মোবাইল / গ্যাজেট  ইত্যাদি।

পেমেন্ট কিভাবে পাবেনঃ

যেহেতু আপনি পন্য বা সার্ভিস বিক্রি করবেন তাই আপনাকে পেমেন্ট গেটওয়ে কানেক্ট করে রাখতে পারবে। এই টাকা আপনি সরাসরি বিকাশ মার্চেন্ট  পেমেন্ট অথবা অন্য কোন একাধিক পেমেন্ট সেবা সাপোর্ট করে তাদের মাধ্যমে নিতে পারেন। তারাও আপনাকে ব্যাংকে পেমেন্ট করবে। এই ভাবে কত আয় করবেন সেটা  নির্ভর করে সেলের / বিক্রির উপর।


এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

আপনার ভিডিও কোনো সেবা/সার্ভিস/ পণ্যের উপর হলে অথবা যেকোনো ভিডিওতে  আপনার এফিলিয়েট লিংক ভিডিওর ডিস্ক্রিপশনে  দিয়ে রাখতে পারেন। কেউ উক্ত লিংক থেকে পণ্য নিলে আপনাকে কমিশন দেয়া হবে। 

যেমন, আপনি আমাজন / ব্ল হোস্ট সহ বিভিন্ন সাইটের এফিলিয়েট লিংক নিয়ে কাজ করতে পারেন।আমাজন থেকে একটি মোবাইল এর রিভিউ করলেন এবং উক্ত পণ্য টি যাতে তারা কিনতে পারে সে জন্য আপনার এফিলিয়েট লিংক দিয়ে রাখবেন। কেউ এই লিংক থেকে উক্ত মোবাইল বা অন্য কোন পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।  এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

পেমেন্ট কিভাবে পাবেনঃ

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন এটা নির্ভর করে আপনার লিংক থেকে কত মানুষ উক্ত পণ্য বা সার্ভিস টি কিনল।

আপনি যদি বাংলাদেশের কোনো সাইটের এফিলিয়েট করেন তাহলে বিকাশ / ব্যাংকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

যদি, আপনি ইন্টারন্যাশনাল সাইটে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে তারা  আপনাকে পেপাল / পেওনিয়ার সহ ব্যাংক এ পেমেন্ট  করে থাকে।


রেফার করাঃ

এটা অনেক টা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতই। আপনি কোনো সাইটের বা অ্যাপ এর রেফার লিংক শেয়ার করলেন আপনার ভিডিওতে ।কেউ উক্ত লিংক থেকে একাউন্ট খুলল । এখন আপনি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা বোনাস পাবেন। যেমন, আপনি বিকাশ এর রেফার লিংক আপনার ভিডিওতে  শেয়ার করলেন। এখন এই লিংক থেকে  কেউ বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে একাউন্ট খুলল। এখন আপনি ১০০ টাকার মত বোনাস পাবেন।

কিভাবে বোনাস / পেমেন্ট পাবেনঃ

রেফার করা টাকা আপনাকে আপনার একাউন্ট এর ব্যালেন্স এ দেয়া হবে। যদি বিকাশ অ্যাপ রেফার করে থাকেন তাহলে আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্টে বোনাস এর টাকা দেয়া হবে।


আরো অনেক উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব। 

আশা করি আপনাদের কাছে এতটুকু ব্লগ ভালো লেগেছে!


কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল  খুলবেনঃ

কিভাবে প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন জানতে ক্লিক করুন। 

এই নিয়ে পরবর্তী ব্লগে আরো আলোচনা করব। আমাদের সাথেই থাকুন।  

কোনো কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কোনো কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন

এখানে কমেন্ট/মন্তব্য করুন (0)

নবীনতর পূর্বতন